চলতি বছরে সাংবাদিকতায় নোবেল খ্যাত পুরস্কার পুলিৎজার বিজয়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ নিয়ে খবর প্রকাশের জন্য এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এপি। এছাড়া, ‘জনসেবা ও ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ নামে দুই ক্যাটাগরিতেও স্বীকৃতি পেয়েছে এপি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে ২০২৩ সালের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে খবর প্রচার করে আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন বিভাগে সেরা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগ ছাড়াও এবার ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। এছাড়া ন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক ক্যারোলিন কিচেনার।
ওয়াশিংটন পোস্টের ক্যারোলিন কিচেনার ‘অবিচলিত প্রতিবেদন’ এর কারণে পুলিৎজার জিতেছেন। সংবাদমাধ্যমটির হয়ে ফিচার রাইটিং বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন এলি স্যাসলো। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্ক টাইমসে কাজ করছেন। পাশাপাশি লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস একজন সরকারি কর্মকর্তার বর্ণবাদবিরোধী গোপন কথাবার্তা ফাঁস করে পুরস্কার জিতেছে। এ ছাড়া লস অ্যাঞ্চেলস টাইমসের ক্রিস্টিনা হাউজ এক গর্ভবতী নারীর রাস্তায় বসবাস করার ওপর ছবি তুলে ফটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন। আর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং বিভাগে পুরস্কার জিতেছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
অন্যদিকে সাহিত্যে আত্মজীবনীমূলক বই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ব্রেভারলি গেগের ‘জি-ম্যান।’ সাধারণ নন-ফিকশন ক্যাটাগরিতে ‘জর্জ ফ্লয়েড: ওয়ান ম্যানস লাইফ অ্যান্ড স্ট্রাগল ফর রেসিক্যাল জাস্টিস’ বইয়ের জন্য পুরস্কার জিতেছেন রবার্ট স্যামুলেয়স ও তোলিউস ওলোরোনিপা। পাশাপাশি সানাজ তোসির ‘ইংলিশ’ নাটক ক্যাটাগরিতে এবং কোয়ি ফ্রিডমের ‘ডমিনিউন: এ সাগা অব হোয়াইট রেসিসটেন্ট টু ফেডারেল পাওয়ার’ ইতিহাস ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে। আর ফিকশন ক্যাটাগরিতে ‘ডেমন কপারহেড’ এর জন্য বার্বারা কিংস্লোভার এবং ‘ট্রাস্টের’ জন্য পুরস্কার জিতেছেন হার্নান দিয়াজ।
১৫টি বিভাগে ২০২২ সাল থেকে সাংবাদিকতায় সেরাদের সম্মানিত করে আসছে পুলিৎজার পুরস্কার। পাশাপাশি বই, সঙ্গীত এবং থিয়েটারসহ আটটি শিল্প বিভাগে এ পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯১৭ সালে প্রথম দেওয়া হয় পুলিৎজার পুরস্কার। সংবাদপত্রের প্রকাশক জোসেফ পুলিৎজারের ইচ্ছায় এই পুরস্কার দেওয়ার রীতি শুরু হয়।